বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কবরস্থান নিয়ে বিরোধ; হামলার ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত মিরপুর দি হোপ স্কুলে শিক্ষার মানোন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর

ধলই চা-বাগান ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : টানা ২১ দিন বন্ধ থাকার পর গত সোমবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে মৌলভীবাজার-৪ আসনের সাংসদ, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বেঠকের সিদ্ধান্তে বুধবার (১৯ আগস্ট) সকাল থেকে ধলই চা-বাগান খোলার নোটিশ দিয়েছিল ধলই চা-বাগান কোম্পানি। গোপনে বাগানে ব্যবস্থাপকের প্রবেশ করা নিয়ে চা শ্রমিকদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে গতকাল বুধবার সকালে ধলই চা-বাগান কোম্পানির এজিএম’র সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও দুই নারী শ্রমিক লাঞ্ছিত হওয়া নিয়ে এজিএমকে মারধর ও গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ করে ওইদিন বিকেলে নোটিশ দিয়ে আবারও ধলই চা-বাগান বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, চলমান উত্তেজনার মাঝে বুধবার সকালে ধলই চা-বাগান কোম্পানির এজিএম খালেদ খান চা-বাগানে প্রবেশকালে নারী চা শ্রমিকদের বাধার মুখে পড়েন। এ সময় বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে দুইজন নারী শ্রমিক লাঞ্ছিত হন। এতে ধলই চা-বাগানে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করে এবং বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ইটপাটকেল নিক্ষেপে এজিএম খালেদ খানের জিপ গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়। এজিএম নিজেও লাঞ্ছিত হন। এরপর চা শ্রমিকরা এজিএম খালেদ খান ও ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলামকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরবর্তীতে কমলগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক ও থানার ওসি মো. আরিফুর রহমানের নির্দেশে মাধবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পুস্প কুমার কানু আন্দোলনরত চা শ্রমিকদের বুঝিয়ে বেলা সোয়া ২টায় পুলিশি পাহারায় অবরুদ্ধ এজিএম খালেদ খান ও ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলামকে উদ্ধার করে চা-বাগান ত্যাগে সাহায্য করেন। এরপর বুধবার সন্ধ্যায় ধলই চা-বাগান কোম্পানির পক্ষে নোটিশ দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য চা-বাগান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলই ভ্যালির সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাস পাইনকা বলেন, ‘গত ১৭ আগস্ট সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. এম এ শহীদের উপস্থিতিতে বৈঠকের সিদ্ধান্তে বুধবার থেকে ধলই চা-বাগান খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আর অভিযুক্ত ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম আপাতত চা-বাগানের বাইরে প্রধান কার্যালয়ে যুক্ত থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এ সিদ্ধান্ত অমান্য করে গোপনে ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম ধলই চা-বাগানে প্রবেশ করে বাংলোয় অবস্থান করেন। গতকাল বুধবার সকালে আবার ধলই চা-বাগান কোম্পানির এজিএম খালেদ খান চা-বাগানে প্রবেশ করলে উত্তেজনা, নারী লাঞ্ছনা ও গাড়ির কাঁচ ভাঙার ঘটনা ঘটে।’

তিনি মনে করেন, ধলই চা-বাগান কোম্পানি পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনার সৃষ্টি করে ধলই চা-বাগানের শ্রমিকদের উশৃঙ্খল প্রমাণ করে আবারও চা-বাগান বন্ধ ঘোষণা করেছে।

কমলগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক জানান, তিনি শুনেছেন বুধবার সন্ধ্যায় নোটিশ দিয়ে ধলই চা-বাগান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে তিনি নোটিশের কোনো কপি এখনও পাননি। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাম ভজন কৈরী এবং মাধবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজ বৃহস্পতিবার সকালে আবারও ধলই চা-বাগান বন্ধের ঘোষণাপত্রের কথা তাকে জানিয়েছেন। বিষয়টি তিনি খোঁজ নিয়ে দেখছেন বলে জানান।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান ধলই চা-বাগানে কোম্পানির এজিএম ও ব্যবস্থাপক অবরুদ্ধ থাকা, জিপ গাড়ির কাঁচ ভাংচুর ও দুই নারী চা শ্রমিক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ নিয়ে কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com